শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সন্তানের চিকিৎসার টাকা হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা: উদ্ধার করলো পুলিশ

নগরীর বিবিরহাট ২নং গলির বাসা থেকে চমেক হাসপাতালে যাওয়ার পথে সিএনজি টেক্সিতে ভুলে টাকার ব্যাগ রেখে নেমে যান মোঃ রহিম। হাসপাতালের মেইন গেইটে সিএনজি ভাড়া পরিশোধ করে বিদায় করার পর সন্তানের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা টাকার ব্যাগ খুঁজে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। অতপর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ হারিয়ে যাওয়ার জিডি নিয়ে নেমে পড়েন তদন্তে।

একাধিক স্থানের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে সিএনজি শনাক্ত করে মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই টাকা উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে নগরের পাচঁলাইশ থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাঁচলাইশ থানায় ভুক্তভোগী রহিমের হাতে হারিয়ে যাওয়া টাকার ব্যাগ তুলে দেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা ও চমেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুর উল্লাহ আশেক।
হারিয়ে যাওয়া টাকার মালিক রহিম বলেন, মঙ্গলবার সকালে বিবিরহাট বাসা থেকে একটি ব্যাগে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকাসহ আমার অসুস্থ সন্তান, স্ত্রী নিয়ে বিবিরহাট দুই নম্বর গলি থেকে চমেক হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠি। পরে চমেক হাসপাতালে মূল গেইটে সিএনজি চালককে ভাড়া দিয়ে সবাই নেমে পড়ি। কিছুদূর যাওয়ার পর ব্যাগের কথা মনে পড়লে স্ত্রীর কাছে ব্যাগ কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেননি সিএনজি থেকে। যেখানে নেমেছিলাম সেখানে ছুটে গিয়ে দেখি সিএনজি চলে গেছে। পরে আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে সিএনজি না পেয়ে পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ টাকাগুলো উদ্ধার করে দেয়।
তিনি বলেন, হারানো টাকা পুলিশ এত দ্রুত উদ্ধার করে দিতে পারবে তা আমি চিন্তাও করিনি। এখন আমি অনেক খুশি। একজন অসহায়ের পাশে এভাবে দাঁড়ানোর জন্য পুলিশের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, টাকা হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে যান এবং আশপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই সিএনজি অটোরিকশা শনাক্ত করা হয়। সিএনজির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিএনজি চালককেও শনাক্ত করা হয়। মানবিক দিক বিবেচনা করে খুবই দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করার চেষ্টা করেছে পুলিশ।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুর উল্লাহ আশেক বলেন, সিএনজি চালক শনাক্ত হওয়ার পর চালক টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে চালকের বাসায় অভিযান চালিয়ে ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। ব্যাগে টাকা ও অন্য জিনিসিপত্র ছিল। টাকাসহ ব্যাগটি প্রকৃত মালিকের হাতে হস্তান্তর করেছেন ওসি স্যার।